সাগর তালুকদার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলা বাজার ইউনিয়নের নবম শ্রেণির এক কিশোরীর বিয়ের উপলক্ষে কনের বাড়িতে চলছিল জাঁকজমক অনুষ্ঠান। আয়োজনের কোনো ঘাটতি নেই। বিয়ের অনুষ্ঠান প্রায় প্রস্তুতির শেষের দিকে ছিলো। কনেকেও সাজানোর কাজ শেষ।
এমন সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা জন্য বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হোন তখন সাথে সাথে বর পক্ষ কে কনের পক্ষ লোকজন গোপনীয় ভাবে জানিয়ে রাখে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার চলমানের ঐসময়ে বিয়ের বাড়িতে যেন বরসহ বর পক্ষ উপস্থিত না হওয়ার জন্য। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সময় বর পক্ষ টের পেয়ে বিয়ে বাড়িতে আর উপস্থিত হয়নি।
সংবাদের ভিত্তিতে বোগলাবাজার ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব বাঘমারা এলাকার সাইফুল ইসলাম এর বড় মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছাঃ সুমাইয়া আক্তার (১৫) এর বিয়ে আয়োজনের তথ্য পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ফয়সাল আহমেদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
এসময় মেয়ের বাবা ও মাকে বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারা অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এসময় ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।কনের বয়স মাত্র ১৫ বছর।
বুধবার (২৪ মে) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ।
জানা গেছে, বোগলা বাজার ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামের উপজেলার একটি গ্রামের নবম শ্রেণির এক কিশোরীর বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ে উপলক্ষে উভয়ের পরিবার তাঁদের স্বজনদের আমন্ত্রণ জানায়। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ এর মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বন্ধ করে দেওয়া হয় বাল্য বিবাহ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমেদ বলেন জননিরাপত্তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমাদের এ ধরণের কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ আরও বলেন আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে উভয় পক্ষের বরসহ স্বজনেরা উপস্থিত হোন তাদের কে জানানো হয়েছে আমরা যে সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। তবে বিয়ের উপলক্ষে কনের বাড়িতে চলছিল জাঁকজমক অনুষ্ঠান। আয়োজনের কোনো ঘাটতি নেই। বিয়ের অনুষ্ঠান প্রায় প্রস্তুতির শেষের দিকে ছিলো। কনেকেও সাজানোর কাজ শেষ। আমরা সঠিক সময়ে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছি। বাল্যবিবাহ দেওয়া যাবে না এ মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।