1. admin@dailydigantor.com : admin :
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ‌‘ভারত থেকে খালি হাতে ফিরিনি, কী পেলাম এটা আপেক্ষিক - দৈনিক দিগন্তর
রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ‌‘ভারত থেকে খালি হাতে ফিরিনি, কী পেলাম এটা আপেক্ষিক

দৈনিক দিগন্তর ডেস্ক
  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ভারত থেকে বাংলাদেশ খালি হাতে ফেরেনি, কী পেলাম এটা আপেক্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সব বিষয়েই সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ সফরেও আমরা একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছি, এটা বলতে পারবো না।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রতিবেশী দেশ ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আসবে। ফলে তেল পরিবহনের খরচ অনেকটা কমে যাবে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৩১.৫৭ কিলোমিটার পাইপলিইন রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ১২৬.৫৭ এবং ভারত অংশে ৫ কিলোমিটার পাইপলাইন ভারত সরকারের অর্থায়নে নির্মাণ কাজ চলছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের সফরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি আছে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর রেল ও সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। একে একে সেগুলো তো সব চালু হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত এতকিছু করার পরও বিএনপি বলে বেড়াচ্ছে কিছুই হয়নি। এটা মানসিকতা ও আত্মবিশ্বাসের বিষয়।

এর আগে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন সরকারপ্রধান।

চলতি মাসের ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, মানবপাচার রোধসহ ইত্যাদি অগ্রাধিকার পায়।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারসহ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

দুই প্রধানমন্ত্রী দুদেশের যৌথ উদ্যোগে বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে খুলনার রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।

পরে যৌথ বিবৃতিতে ভারত বাংলাদেশি পণ্য তৃতীয় কোনো দেশে রফতানির জন্য ফ্রি ট্রানজিটের প্রস্তাব দেয়। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করেন।

সফর শেষে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ বিমানে হযরত শাহজালাল (রাহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর