নিজস্ব প্রতিবেদক।।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকার মানবিক রাষ্ট্র গঠন করার পাশাপাশি একটি সামাজিক কল্যাণরাষ্ট্রও গঠন করতে চায়। আমরা ভবিষ্যৎ পথচলায় দেশকে একটি সামাজিক কল্যাণকর রাষ্ট্র করতে চাই। এ লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ হলে গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ সব কথা বলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কাজী খালীকুজ্জামান আহমদের বর্নাঢ্য কর্মজীবনের ওপর রচিত ‘তারুণ্যে উদ্দীপ্ত বরেণ্য প্রবীণ বিদগ্ধজন’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা স্কুল অব ইকোনোমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতি প্রোগ্রাম।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চাই একটি উন্নত রাষ্ট্র এবং একই সঙ্গে একটি মানবিক রাষ্ট্র। আর এই মানবিক রাষ্ট্র হতে হলে মানবিকতার বিকাশ দরকার। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে এই বিষয় গুলো তুলে ধরা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘সমাজকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাহলে গুণী মানুষদের সম্মান করতে হয়। যে সমাজ গুণী মানুষের শ্রদ্ধা করে না সে সমাজে গুণী মানুষ তৈরি হয় না।
রাষ্ট্রের মানবিক হওয়ার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত রাষ্ট্র কি পাশ্চাত্যকে অন্ধ অনুকরণের মাধ্যমেই হবে? কেউ বয়ষ্ক হয়ে গেলে তার ঠিকানা হবে বৃদ্ধাশ্রমে। এটিই যেন নিয়তি। সমাজ তা মেনে নিয়েছে। এটি সমাজের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা কি এমনি একটি উন্নত রাষ্ট্র চাই! আমি অন্তত চাই না।
সমাজ পরিবর্তনের পেছনে তরুণ প্রজন্মের কী করণীয় তা উল্লেখ করে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম যদি গুরুজনদের সম্মান না করে, আর পিতা-মাতাকে বোঝা মনে করে, তাহলে তো মানবিক রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়। তাই এদের নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। মানুষ ও রাজনীতিবিদরা যেন এগুলো নিয়ে চিন্তা করে। আমি জানি এই কথায় সমাজ পরিবর্তন হবে না। কিন্তু মানুষকে ভাবাবে। সবাই যদি ভাবে তাহলে আসলে পরিবর্তন হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. মো আবদুল করিম। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক শফি আহমদ, প্রফেসর শেখ ইকরামূল কবির, মো. জামাল হোসেন, সোহরাব হাসান, পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর কাদের, অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম প্রমুখ।