নিজস্ব প্রতিবেদক।।সর্বনিম্ন ৭০ থেকে ৮০টি এবং সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, স্থানীয় কিংবা জাতীয় নির্বাচনে আগে যেখানে ব্যবহার হয়েছে, সে সব এলাকাতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার করা হবে।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য নতুন প্রকল্প নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ইভিএম কেনার বিষয়টা কমিশনের নয়, এটি ইসি সচিবালয় দেখছে। তারা হয়ত একটা গাইডলাইন চাইতে পারে আমাদের কাছে।২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে, এটা ধরেই ইভিএমের নতুন প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সচিবালয় যদি দিতে পারে তবে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ভোট হবে। কারণ কেবল অর্থ নয়, সবকিছু পেলেই সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে হবে।
তিনি বলেন, সরকার থেকে টাকা না দিলে আমরা সর্বোচ্চ ১৫০ আসন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু প্রকল্প পাশ না হলে বা বৈশ্বিক ক্রাইসিস পরিস্থিতিতে যদি অর্থ ছাড় না হয় কিংবা সব পেলাম কিন্তু হার্ডওয়্যার যদি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি বিদেশ থেকে না আনতে পারে তাহলে তো হবে না। তবে আমাদের যে সক্ষমতা বর্তমানে আছে, এতে ৭০ থেকে ৮০টি আসনে নিশ্চিত। আমাদের যা ইভিএম আছে তা দিয়ে ৭০-৮০টি আসনে হবে।
এ সময় ইসি আলমগীর আরও বলেন, কোন কোন আসনে ইভিএমে ভোট হবে তা এখনো ঠিক করা হয়নি। ক্রাইটেরিয়া ডিপেন্ড করবে। যেখানে ভোট হয়েছে সেসব এলাকাতেই হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসন, স্বাভাবিকভাবেই পৌর, ইউপিসহ যেসব ভোট হয়েছে সেসব এলাকাই আমলে নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপে টোটাল নির্বাচনী ম্যানেজমেন্ট থাকবে। ভুল থাকলে কেউ ধরিয়ে দিতে পারবে। রোডম্যাপ চূড়ান্ত। প্রিন্ট হলেই প্রকাশ হবে।