নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাজারে লাগামহীন দামে দিন যেন আর চলছেই না সাধারণ মানুষের। শাকসবজি থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের বাড়তি দর তো আছেই। তবে এখন সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে ট্রয়লেট্রিজ পণ্য। অনেকটা যেন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে সাবান, শ্যাম্পু কিংবা ডিটারজেন্টের দাম।
সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ল নাকি কমল, তা নিয়ে আর ভাবতে পারছেন না সাধারণ ক্রেতারা। বরং কম খেয়ে, কম কিনে সংসারের হিসাব মেলাতে ব্যস্ত তারা।
সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দামের খরতাপে পুড়ছে কাঁচাবাজার। তবে শতক ছাড়ানো সবজির মূল্য ধীরে ধীরে কমছে। এই যা একটু ভালো খবর। মরিচের কেজি নেমে এসেছে ৩০ টাকায়। যেখানে সপ্তাহ তিনেক আগেও রাজধানীর কাঁচাবাজারে তা বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা বা এর চেয়ে বেশি দরে। পাড়া-মহল্লার দোকানে সেটি ছাড়িয়ে যায় ৩০০।
এক ক্রেতা বলেন, করলা ৬০, বেগুন ৫০, বরবটি ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পরিপ্রেক্ষিতে এক বিক্রেতা বলেন, কাঁচা সবজির দাম বাড়েনি। তবে শিম, গাজরের দাম একটু বেশি। আর সব মালের মূল্যই সীমিত আছে।
আদা-রসুনের দর কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। তবে আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। সংশ্লিষ্ট বিক্রেতা বলেন, দেশিটা ৩৬- ৪০ টাকা এবং ভারতীয়টা ৩০-৩২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। তবে অন্যান্য মুরগি দর রয়েছে আগের মতোই। একই অবস্থা ডিমেও।
মুরগি বিক্রেতা বলেন, ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি বিক্রি করছি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। দেশিটা বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি।
এক ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় প্রতি মাসেই ঋণ থেকে যায়।
ট্রয়লেট্রিজ পণ্যের দাম যেন ছুঁতে চাইছে আকাশ। সাধারণ বা সুগন্ধি সাবান, নানা ধরনের ডিটারজেন্টের দাম ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মসলা জাতীয় পণ্যের বাজারেও দামের লু হাওয়া। তবে এর মাঝে কিছুটা স্বস্তি চালের বাজারে। মোটা চালের দাম কমেছে কেজিতে ২-৩ টাকা।
এক মুদি দোকানি বলেন, সাবানে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়তি। যে সাবান ৫৫ ছিল এখন তা ৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। অপর এক বিক্রেতা বলেন, ১ কেজি হুইল পাউডারে সপ্তাহে দর বেড়েছে ১০ টাকা।
আরেক বিক্রেতা বলেন, চালের আসলে দাম কমেনি। তা-ও ২ থেকে ৩ টাকা কমে বিক্রি করছি। কী করব, মানুষকে তো বাঁচতে হবে।
এক মাংস ক্রেতা বলেন, আগে মুরগি কিনতাম ৫ কেজি। এখন কিনি ২ কেজি। যে আমিষটা আমরা পেতামা তা-ও এখন দুঃসাধ্য হয়ে গেছে।