স্টাফ রিপোর্টার ।। গত ১১ই আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিকর্মী মাসুমা আক্তার জাহান নিজে বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন, কিন্তু গত দুইদিন অতিবাহিত হওয়া সত্বেও কোনো এক অজ্ঞাত কারনে মামলা গ্রহণ করছে না মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। তদন্তের নামে চলছে দফায় দফায় হয়রানি।
মিরপুর মডেল থানা পুলিশের এই জাতীয় আচরণে ক্ষুব্ধ বিভিন্ন সাংবাদিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা চেষ্টা এবং প্রকাশ্য দিবালোকে ছিনতায়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে, সেইসাথে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শান্তির জোর দাবী জানানো হয়।
এবিষয়ে বাদী মাসুমা আক্তার জাহান বলেন, আমার মনে হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল সন্ত্রাসের স্বীকার আমি। ঘটনার দিন মিরপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ প্রদানের পর সাব ইন্সপেক্টর অনিক অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব পান, তিনি প্রথমে আমাকে নিয়ে ক্রাইম স্পট পরিদর্শন করেন। তারপর এসআই অনিক আসামীর বাসায় গিয়ে জানতে পারেন তিনি বাসায় নেই। এসআই অনিক আমাকে জানান, অভিযুক্ত আল আমিনের মুঠোফোনে কল করলে ফোনটি কেউ রিসিভ করেনি। রাতে পূণরায় থানায় গিয়ে জানতে পারি বিবাদী আল আমিন ফোন দিয়ে জানিয়েছে তিনি সিলেট আছেন। কিন্তু থানা থেকে ফোন কল ট্রেস করে জানতে পারা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তির ফোনের লোকেশন খুলনায় দেখাচ্ছে। পদ্মা সেতুর কারণে খুলনার দূরত্ব এখন মাত্র দুই/তিন ঘন্টার, সেখানে ঘটনার প্রায় দশ ঘন্টা পর আসামীর খুলনা থাকা অসম্ভব কিছু নয়। তাছাড়া ঘটনার সময় আসামীর ফোনের সুইচ অফ থাকা বা মিথ্যা বয়ানের কারণে সে অবশ্যই নিরাপরাধী হতে পারে না। প্রয়োজনে আমাকে আদালতের শরনাপন্ন হতে হবে।
ভুক্তভোগী মাসুমা আক্তার জাহান প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি দীর্ঘসময় তদন্তের নামে আসামীদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা চলছে? নাকি কোনো বিষয়কে আড়াল করার অশুভ উদ্দেশ্যে সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে?
মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে ঘটনাটি ঘটতে পারে, তবে তদন্ত চলছে সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।