বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে যে কোনো পরিমাণ ঋণ দেওয়ার সুযোগ দিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে আগামী ৬ মাসের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে যত খুশি তত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক।
একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে একটি ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণ দিতে পারে। কোনো অবস্থায় এর বেশি ঋণ দিলে তা ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬ (খ) ধারার লঙ্ঘন। আবার ব্যাংক কোম্পানি আইনে কোনো বিষয় উল্লেখ থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজ থেকে সে বিষয়ে ছাত দিতে পারে না। যে কারণে আইনের ১২১ ধারায় দেওয়া ক্ষমতা বলে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে বিশেষ এই ছাড় দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানির বাজারে অস্থিরতার কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর খরচ বেড়েছে। তাই এই ঋণ সুবিধা দেওয়া হলো।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই নিষেধাজ্ঞা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৬ মাসের জন্য তুলে নেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ নিবির্ঘ্ন রাখতে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির জন্য ব্যাংকগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদনের ক্ষেত্রে আইনের ২৬খ (১) ধারার নিষেধাজ্ঞা আগামী ৬ মাসের জন্য কার্যকর হবে না। তবে ২৫ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমার জায়গায় ঋণ সীমা কত হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে।
নিষেধাজ্ঞা তুলেে নেওয়ার পর এখন থেকে ‘কেস-টু-কেস’ অর্থাৎ প্রতি আবেদন বিবেচনা করে ঋণসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
উল্লেখ্য, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী- কোনো একক গ্রাহককে (কোম্পানি, ব্যক্তি ও গ্রুপ) ব্যাংকের মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।