সাইফুল ইসলাম ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ভালুকায় ককটেল ফাটিয়ে প্রদীপ জুয়েলার্সের দোকানের লোকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২০ জুলাই বুধবার রাত ৯টায় ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রদীপ জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদলের হামলায় দোকান মালিক অধীর কর্মকার গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ ও পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় ৫/৬ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ সসস্ত্র ডাকাতদল একটি প্রাইভেটকারে এসে প্রদীপ জুয়েলার্সে ঢুকে দোকান মালিক অধীর কর্মকতার ও তার ভাই সুধীর কর্মকারকে অস্ত্রেও মুখে জিম্মি করে।
দোকানের কাউন্টারের শোকেসে থাকা সব স্বর্ন লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় হাতাহাতির সময় দোকান মালিক অধীর কর্মকারের পায়ে একটি গুলি করে ও মাথায় আঘাত করে বেশ কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে গফরগাঁওয়ের দিকে চলে যায়। এ সময় ককটেলের স্প্রিন্টারের আঘাতে কয়েকজন পথচারী আহত হন। খোঁজ পেয়ে স্থানীয় লোকজন আহত দোকান মালিক অধীর কর্মকতারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভালুকা ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী পাশের হার্ডওয়ার দোকান মালিক শাহিন জানান, পর পর তিনটি বোমা বিস্ফোরনের কারণে বিকট শব্দে আশপাশ এলাকা ধোঁয়ায় অন্ধাকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। একটি প্রাইভেটকার থেকে নেমে ৫/৬জন লোক দোকানে ডুকেছে। পরে গিয়ে দেখি দোকান মালিক রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে এবং দোকানের শোকেশে থাকা সোনা লুট করে নিয়ে যায়।
আহত দোকান মালিক অধীর কর্মকারের জানান, আমার ভাই ও আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে প্রায় প্রায় ৫০ ভরি সোনা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল। এসময় হাতাহাতির সময় আমার পায়ে গুলি করে ও মাথায় আঘাত করে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, আমরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত আমরা সংগ্রহ করছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহিৃত করে গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।