নিজস্ব প্রতিবেদক :ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঈদে উত্তরবঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সিরাজগঞ্জের নবনির্মিত নলকা সেতুর ঢাকাগামী লেনটিও খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে ঈদ পরবর্তী উত্তরের ২২ জেলার মানুষের কর্মস্থলে ফেরার যানজটের ভোগান্তি যেমন কমে যাবে, তেমনি সহায়ক হবে ঈদ যাত্রারও।
সোমবার (৪ জুলাই) সকালে জনসাধারণ ও সকল যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন সাসেক-২ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. এখলাস উদ্দিন। এ সময় হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার (২ জুলাই) সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা জোরদারকরণ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এবার ঈদুল আজহার আগেই নলকা সেতুর সব লেন খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী।
প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. এখলাস উদ্দিন বলেন, ঈদে উত্তরবঙ্গের প্রায় ১৬ জেলার গাড়ি সিরাজগঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়ায় যানজটসহ নানা দুর্ভোগে পড়ে শহরবাসী। জেলা শহরে ঢুকেও রাস্তা ভুলে তালগোল পাকিয়ে এলোমেলো চলাচল করে গাড়িগুলো। এতে একদিকে যেমন সড়ক দুর্ঘটনা হয় এবং সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে সিরাজগঞ্জের নাম।
এছাড়া হাটিকুমরুল গোল চত্বর থেকে অসংখ্য অনভিজ্ঞ মোটরসাইকেল চালক যাত্রী বহন করে। ফলে বড় যানবাহনগুলো সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এসব বিষয় নজরে নিয়ে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রহমান বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব স্যার নির্দেশনা দিয়েছিলেন চার তারিখে নবনির্মিত নলকা সেতুর ঢাকাগামী লেনটি খুলে দেওয়ার জন্য। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেতু বিভাগ আজকে নলকা সেতুর ঢাকাগামী লাইনটি খুলে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কের ছোট ছোট গর্ত এবং ভাঙ্গা জায়গাগুলো মেরামত করা হচ্ছে। পাশাপাশি হাটিকুমরুল গোল চত্তর এলাকায় কিছু নতুন গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, যা আগামীকালের মধ্যে মেরামত সম্পন্ন হবে। এর সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে সংস্কারের কোনও চাহিদা করা হলে, সেটাও করে দেওয়া হচ্ছে। ঈদ পরবর্তী যাত্রা পর্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সেগুলো করে দেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রা সুন্দর ও নিরাপদ করতে ইতিমধ্যেই জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও জেলা পুলিশ মিলিয়ে সর্বমোট ৫৬৭ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যেই সোমবার (৪ জুলাই) সকাল ৬ টা থেকে মহাসড়কে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। আমরা গত ঈদের মতই এবারো যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও ঈদে মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ট্রাফিক বিভাগ সচেষ্ট রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের পূর্বে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল নবনির্মিত নলকা সেতুর উত্তরবঙ্গগামী লেনটি খুলে দেওয়া হয়। এতে অন্যান্য বছরের চেয়ে গত ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ঈদ যাত্রা ভোগান্তিমুক্ত হয়।