নিজস্ব প্রতিবেদক :সিলেট, ময়মনসিংহ এবং রংপুর বিভাগে ১৭ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত গত পাঁচদিনের বন্যায় ডায়রিয়া, সর্প দংশন, পানিতে ডুবা ও আঘাতজনিত কারণসহ নানা রোগে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন, রংপুর বিভাগে তিনজন এবং সিলেট বিভাগে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত ২৭ জেলায় চোখের রোগ, সাপের কামড়, ডায়রিয়া, ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বন্যাদুর্গত এলাকার দুই হাজার ৯২৪ জন। এরমধ্যে শুধু গতকাল পূর্বের ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন পাঁচ জন ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪২ জন।
মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেলে সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ১৭ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৭৯ জন, তবে এই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ জন, বজ্রপাতে ১৩ জন আক্রান্ত হয়ে তাদের মধ্যে ১২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে, সর্প দংশনে ৪ জন আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে, পানিতে ডুবা ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য কারণে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের হিসেবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে, সিলেট জেলায় ১০ জন, সুনামগঞ্জে পাঁচজন, ময়মনসিংহে পাঁচজন, নেত্রকোনায় চারজন, জামালপুর তিনজন, শেরপুরে তিনজন, মৌলভীবাজারে তিনজন, কুড়িগ্রামে দুইজন এবং লালমনিরহাটে একজন রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বন্যায় ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলা, রংপুর বিভাগের আট জেলা, ও সিলেট বিভাগের চার জেলাসহ ২৭ জেলার ১৮৫টি উপজেলার মধ্যে ৬১টি দুর্গত। এসব যায়গায় সেবা দিতে এক হাজার ৯৭৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।