নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার চট্টগ্রাম মহানগরীরও নিম্নাঞ্চলগুলো ডুবে গেছে। টানা চারদিনের বর্ষণে তলিয়ে গেছে সড়ক, অলিগলি ও বাসা-বাড়ির নিচতলা। দোকানগুলোতেও ঢুকে পড়েছে পানি। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি দেখা গেছে।
সোমবার (২০ জুন) সকালে জলাবদ্ধতার সঙ্গে ভারি বৃষ্টিতে অফিসগামীরা ভোগান্তিতে পড়েন। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নগরীর কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, ষোলশহর ২নং গেট এলাকায় জলজটের দুর্ভোগ ছিল বেশি। একইসঙ্গে লালখানবাজার-বহদ্দারহাট আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে যানজটের কবলে পড়েছে অসংখ্য গাড়ি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সোমবার (২০ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় ২৩৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। চট্টগ্রামের এ বৃষ্টিপাত সারাদেশের মধ্যে রেকর্ড বৃষ্টি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাছাড়া আগামী দুই থেকে তিনদিন ভারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে পাহাড়ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
চারদিনের টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, শুলকবহর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, ষোলশহর ২নং গেট বাদেও বাকলিয়া ডিসি রোড, আগ্রাবাদ সিডিএ, হালিশহর, মোগলটুলি, ট্রাঙ্ক রোড, তালতলা, চাঁন্দগাও আবাসিক, খতিবের হাট, সিঅ্যান্ডবি কলোনি, ফিরিঙ্গিবাজার, আলকরণ, বাকলিয়া আবদুল লতিফ হাটখোলা সড়কে পানি জমে যায়।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, আগামী দুই থেকে তিনদিন ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি পাহাড়ধসের সতর্কতা বার্তা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িও। বহদ্দারহাটের বহদ্দার বাড়িতে মেয়রের নিজের বাসভবনের নিচতলায় হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়।
মেয়রের বাসার সিকিউরিটি গার্ড মাসুদ রানা জানান, মেয়র দোতলায় থাকেন। মেয়রের গাড়িটি বাসার সামনে থাকে। পানি উঠার কারণে গাড়িটি পানির মধ্যেই রাখতে হয়েছে। সামনের রাস্তায় পানি আরও বেশি।