আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: চাতাল ব্যবসায়ী ও বড় আড়তদাররা সীমিত আকারে ধান কেনার প্রেক্ষিতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের বিভিন্ন হাটবাজারের ছোট ছোট ফড়িয়ারা কৃষকদের নিকট থেকে ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছে।
বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে দেখা যায়, আড়তে এক দিনের ব্যবধানে মণ প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কম দামে সীমিত আকারে ধান কিনছে । এতে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকরা ধান বিক্রি করতে না পেরে ধান নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।
অপরদিকে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাল ও ধান আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করায় সব ধরণের চাল প্রতি কেজিতে ৪/৫ টাকা কম দরে চালব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে শুরু করেছে ।
গোপীনাথপুর এলাকার ধান বিক্রেতা সালাম হোসেন জানান, এক দিন আগে ১৪০০ টাকা মণ দরে জিরাশাইল ধান বিক্রি করেছি। সেই ধানের দাম কমে এখন ১২৫০ টাকা হয়েছে। এভাবে প্রকার ভেদে প্রতিমণ ধান ১০০ থেকে ১৫০ টাকা হারে কমে গেছে । একারণে আমি ধান নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি । এই দামে বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। এবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর কারণে ধানের ফলনও কম হয়েছে।
আক্কেলপুর কলেজবাজার ধানহাটির ধান আড়তদার সুনীল চন্দ্র মন্ডল বলেন, উপজেলায় ধান কেনার জন্য প্রায় ৩৫ টি আড়ত রয়েছে। তারা উপজেলায় উৎপাদিত ধান কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকার মিলার ও বড় ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু ধান চালের অবৈধ মজুত কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের একাধিক টিম মাঠে নামার প্রেক্ষিতে মিলার ও বড় ব্যবসায়ীরা ধান কেনা কমিয়ে দিয়েছে ।
একারণে বিভিন্ন মিলার ও বড় ব্যবসায়ীরা সীমিত আকারে ধান কেনায় সেখানে একদিনের ব্যবধানে জিরাশাইল, কাটারী, সুবল লতা প্রতিমণ ধান প্রকার ভেদে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কম দরে বেঁচা-কেনা হচ্ছে।
অপরদিকে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. হাবিবুল হাসান বলেন, বিভিন্ন চাল আড়তে বাজার মনিটরিংএ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা চলমান রয়েছে। খাদ্য ব্যবসায়ীদের জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য লাইন্সেস করার জন্য বিশেষ ভাবে বলা হয়েছে।
আক্কেলপুর কলেজ বাজারের চাল ব্যবসায়ী কালাম সরদার জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পর থেকেই বাজারে সব ধরণের প্রতি মন জিরাশাইল চাল আগে ছিল ২৫থেকে ২৬শত টাকা বর্তমানে ২২ থেকে ২৩শত টাকা, প্রতি মন কাটারী চাল আগে ছিল ২৪থেকে ২৫শত টাকা বর্তমানে ২২ থেকে ২৩শত টাকা এবং প্রতি মন সুবল লতা চাল আগে ছিল ২১থেকে ২২শত টাকা বর্তমানে ১৮ থেকে ১৯শত টাকা দরে বেঁচা-কিনা চলছে। বর্তমান হাটে বাজারে প্রতি কেজি চাল ৪ থেকে ৫ টাকা কম দরে বিক্রি চলছে।