দিগন্তর ডেস্ক |চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে আরও দুটি দেহের পোড়া অংশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এতে প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৩-এ।
দেহাবশেষ দুটি মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার পর উদ্ধার করা হয়।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুটি লাশের ভস্মীভূত অংশ উদ্ধার করেছি। একটি লাশের পাশে ফায়ার সার্ভিসের বুট ও পিপিইর আলামত পেয়েছি। আরেকটিতে সিকিউরিটি গার্ডের পোশাকের পোড়া অংশ ছিল।
‘তাই আমরা ধারণা করছি, একটি লাশ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যের এবং অন্যটি ডিপোর সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা কারো।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে শনিবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস খবর পায় ৯টা ২৫ মিনিটে। রাত ১১টার দিকে শুরু হয় বিস্ফোরণ।
কনটেইনারে থাকা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের বিস্ফোরণে আগুন দ্রুত আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের শব্দে ভেঙে যায় আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ। একে একে বের করা হয় হতাহতদের।
ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৬৩ জন রোগীর সবাই কম বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল আই কেয়ারের সাবেক মহাপরিচালক আধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক। এর মধ্যে ছয়জন রোগীকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন।
এর আগে গত শনিবার (৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকার বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ সময় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কম্পন সৃষ্টি হয়। বাসা-বাড়ি, মসজিদের জানালার গ্লাস, দরজার লক ভেঙে যায়। আশপাশের স্থানীয়রা ঘর ছেড়ে দূরবর্তী স্থানে চলে যায়।
এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ ৪১ জন মারা গেছেন। কয়েকশ’ মানুষ দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ২৫ জনের নামপরিচয় মিলেছে। তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।