1. admin@dailydigantor.com : admin :
বাংলাদেশ ব্যাংকে বাফেদার চিঠি, রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব - দৈনিক দিগন্তর
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ ব্যাংকে বাফেদার চিঠি, রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব

দৈনিক দিগন্তর ডেস্ক
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৫ মে, ২০২২

ডলারের বাজারে অস্থিরতা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। সংগঠনটির প্রস্তাবে মধ্যে অন্যতম হলো- বৈধভাবে পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রণোদনা আড়াই শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে পাঁচ শতাংশ করা, বাজারের চাহিদা বিবেচনা করে ডলার সরবরাহ করা, বাজারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ে আন্ত-ব্যাংক বিনিময় হার পুনঃনির্ধারণ।

এ ছাড়া সকল অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংক বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো থেকে ‘একক বিনিময় হারে’ লেনদেন করবে এবং সেই হার আন্ত-ব্যাংকের মধ্যে লেনদেন থেকে কমপক্ষে শূণ্য দশমিক এক শতাংশের কম হবে। এই একক বিনিময় হার কঠোরভাবে তদারকি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ডলারের বাজারে অস্থিরতা কাটাতে গত ১৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে লেখা চিঠিতে বাফেদার পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব জানানো হয়েছে। আর এ চিঠি পঠানোর আগে বাফেদার নেতারা এক বৈঠকে মিলিত হন বলে জানা গেছে। বাফেদার এসব প্রস্তাবের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাফেদার মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে একটি পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বাফেদার প্রস্তাবে আরো বলা হয়, এডি ব্যাংকগুলো রপ্তানির ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী কর্তনমূল্যের সুযোগ নিশ্চিত করবে এবং রপ্তানির কাগজপত্র যাচাই করবে। এছাড়া একমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানির এলসি বিল ও সরকারি বাধ্যতামূলক পাওনা পরিশোধে বৈদেশিক মুদ্রার বাড়তি চাহিদার তারল্য সরবরাহ করবে। আর রাষ্ট্রয়াত্ব এডি ব্যাংকগুলো নিজস্ব উৎস থেকে কেবল সরকারের বাণিজ্য ও বাধ্যতামুলক পাওনা বড়জোড় তিন মাসের জন্য পরিশোধ করবে। তবে এসব ব্যাংক সরকারের আন্ত:ব্যাংক বাজার পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রার উৎস হিসাবে ব্যবহার হবে না।

বাফেদার বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন সদস্য নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধানের সভাপতিত্বে হঠাৎ ডলারের মূল্য বাড়ার কারণ দর্শানো ও তা বন্ধে প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা হয়।  কিন্ত বৈঠকে ডলারের দাম বাড়ার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ বের করা যায় নি। ডলারের দাম বাড়ার সম্ভাব্য কারণ বের করা হয়েছে। তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া ও হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো। আর বাংলাদেশ ব্যাংক চাহিদা অনুযায়ী ডলার না ছাড়ায় ব্যাংকগুলোর সংকট আরও বাড়ছে। সংকট উত্তোরণ রফতানি আয় বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ এবং রেমিটেন্স বাড়াতে প্রয়োজন্য ভর্তুকি দ্বিগুণ করা।

বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান ওইদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, দেশে এখন আমদানির জন্য যে পরিমাণ অর্থ বা ডলার খরচ হচ্ছে, তা রপ্তানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে মিটছে না। এর ফলে সংকট তৈরি হয়েছে। এজন্য বাজারে ডলারের সংকট দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যে পরিমাণ ডলার বিক্রি করছে, সেটি চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। ফলে প্রতি মাসে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খোলাবাজারে ডলারের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমে এসেছে। রাজধানীতে গতকাল বুধবার প্রতি ডলার ৯৮-৯৯ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর