ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২২ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কটুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য রাখেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এদিনই সন্ধ্যায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের টিএসসিতে হামলা করা হয়। যাতে তিনজন আহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রদল কর্মসূচী দেওয়ার কথা জানালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়।
এদিন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্পটে অবস্থান নেয়। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসলে তাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসার মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার মাথা ফেটে যায়। এছাড়া কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১২ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল শহীদ মিনার এলাকা হয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকছিলাম। সেসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের বাধা দেয়। আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে চাইলে তারা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রড, স্ট্যাম্প, হকস্ট্রিক ও ছুরি তারা দিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় আমাদের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, ঢাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ইজাজুল করিম এবং সদস্য মানুসূরা গুরুতর আহত হয়ে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মীর আহত হয়েছেন, সবাই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আখতার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল, বঙ্গবন্ধু হল, জগন্নাথ হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করে। আমাদের ৩০-৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি। নেতাকর্মীদের চিকিৎসা দিয়ে আমরা আবারও ক্যাম্পাসে ঢুকব এবং আন্দোলন চালিয়ে যাব।
হামলার পর ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মেডিকেলের ইমারজেন্সি বিভাগের আশেপাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়। চিকিৎসা শেষে আবারো ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করবেন বলে জানান তারা।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা টিএসসি, মধুর ক্যান্টিন, শহীদ মিনারসহ ক্যাম্পাসেই গুরুত্বপূর্ণ সব মোড়ে অবস্থান নেয় এবং ছাত্রদল বিরোধী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।