1. admin@dailydigantor.com : admin :
পায়রা নদীর কবলে তেতুলবাড়িয়ার বেড়িবাঁদ - দৈনিক দিগন্তর
শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন

পায়রা নদীর কবলে তেতুলবাড়িয়ার বেড়িবাঁদ

দৈনিক দিগন্তর ডেস্ক
  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৩ মে, ২০২২

আবুল হাসান নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া এলাকায় পায়রা নদীর বেড়িবাঁধে হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙন শুরুতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। দফায় দফায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সামান্য কিছু অংশ বাকি থাকায় সহায়-সম্বল রক্ষার জন্য এলাকাবাসীর খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমও প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ওখানকার স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এখানকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুটি স্থানের প্রায় ২০০ মিটার ধসে গেছে। মঙ্গলবার বাঁধে ধস নামলেও এখন পর্যন্ত সে অংশ মেরামতের কোনো ব্যবস্থা হয়নি। ফলে গ্রামবাসী বড় ধরনের ভাঙ্গনের পাশাপাশি ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছে।

জোয়ারের পানি প্লাবিত হওয়ায় বেড়িবাঁধের চারের ৩ অংশই ভেঙে যায়। নদীর উত্তাল ঢেউয়ে বাকি অংশটুকুও ভাঙতে শুরু করে।

উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের বাঁধের দুইটি অংশ ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে। ভাঙা স্থান দিয়ে এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। বিশাল বিশাল ঢেউয়ের আঘাতের শব্দ যেন পুরো এলাকাবাসীকে সতর্ক করে দিচ্ছে বেড়িবাঁধ রক্ষা করতে না পারলে যেকোনো সময়ে তোমাদের এলাকাকে গ্রাস করবে। এটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়লে তেতুলবাড়িয়া, জয়ালভাঙ্গা, অংকুজানপাড়া, সোবাহানপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পায়রা নদীর পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। নষ্ট হতে পারে ফসলি জমি, প্রাণহানি ঘটতে পারে মানুষসহ গবাদি পশু পাখি ও সম্পদের। এছাড়াও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মশালা, মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে যাতে কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে। এমনকি কেউ কেউ পুরো ইউনিয়নও তলিয়ে যেতে পারে বলে জানান। যাতে শত শত পরিবার বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, তেতুলবাড়িয়া এলাকা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরত্বে বাঁধের ভাঙন স্থান। বিশাল বাঁধটির দুইটি স্থানে প্রায় ২০০ মিটার ভেঙে জিও ব্যাগ পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ভাঙন বাঁধের দক্ষিণ দিকে ঢুকছে। জিও ব্যাগসহ ভেঙে গিয়েছে বাঁধটি। পানির স্রোতে বাঁধ থেকে ধীরে ধীরে মাটি সরে যাচ্ছে। ভাঙন স্থানগুলো বিশাল আকার ধারণ করছে। পানির স্রোত ভাঙন অংশে ধাক্কা দিচ্ছে। এতে বাঁধের কাছে দাঁড়িয়ে অসহায়ের মতোন ভাঙন দেখছেন স্থানীয়রা।তারা বলছেন, পায়রা নদীর ঢেউ এসে নড়বড়ে ভাঙা বাঁধটাকে আঘাত হানছে। এই বুঝি ভাঙলো বাঁধ, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোথায় দাঁড়াবে! সবার চোখে-মুখে উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগ। বাঁধের কোল ঘেঁষেই নদীতে সব কিছু হারিয়ে বাসাবাঁধা কিছু মানুষ। তারা দাঁড়িয়ে রয়েছে আর দেখছে ঢেউয়ের আঘাতের শব্দ আর বাকি অংশ একটু একটু করে ভেঙে যাচ্ছে।

গত দুই বছর আগে এই এলাকার কয়েকটি স্থান ধসে যায়। পানি উন্নায়ন বোর্ড থেকে শুধু বালুর বস্তা ও অস্থায়ী রিন বেড়িঁবাধ নির্মাণ করা হয়েছে তবে ভাঙন স্থানে স্থায়ী কোনো কাজ করা হয়নি। তাই হয়তোবা দ্রুত এই বেড়িঁবাধ খানা ভেঙে গেছে। আমাদের দাবি দ্রুত স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম সাদিক তানভীর বলেন, বরগুনার বিডব্লিউডিবি নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি।তিনি বেড়িবাঁধের জন্য জরুরী ব্যবস্থা নিচ্ছেন।প্রয়োজনে তিনি সেখানে বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম বলেন, ঐ স্থানে আমাদের লোক পাঠানো হবে। দ্রুত বাঁধ সংস্কার করে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন স্থায়ী ভাবে পাকা ব্লক দেওয়ার জন্য প্রজেক্ট দেওয়া আছে কি না দেখে জানাতে পারবো। যদি থাকে তাহলে বাজেট পাওয়া গেলেই কাজ শুরু করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর