1. admin@dailydigantor.com : admin :
শেরপুরে বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে মৎস্য চাষীদের স্বপ্ন – দৈনিক দিগন্তর
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৮ অপরাহ্ন
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৮ অপরাহ্ন

শেরপুরে বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে মৎস্য চাষীদের স্বপ্ন

দৈনিক দিগন্তর ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩

 

বগুড়া প্রতিনিধি।।বগুড়ার শেরপুরেও টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির পানিতে পুকুর ডুবে প্রায় ছোট-বড় ৪০০ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে মৎস্য চাষিদের আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে মৎস্য চাষীরা। চাষীরা ঋণ ও ফিডের দোকানে বাঁকি করে খাদ্য নিয়ে চাষ করা পুকুর ডুবে যাওয়ায় মাছ চাষীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।সরকার যদি কোনো প্রণোদনা না দেন তাহলে পথে বসবে তারা।তিন দিন ধরে চলা টানা বৃষ্টিতে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুকুর ডুবে গেছে কুসুম্বি, বিশালপুর, মির্জাপুর, খামারকান্দি ও গাড়ীদহ ইউনিয়নে। তবে উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছেন অনেক মাছ চাষীদের পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে খবর পাওয়া গেছে। জনবল না থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের ৬০টি, কুসুম্বি ইউনিয়নে ৬৫টি, মির্জাপুর ইউনিয়নে ৩৫টি, গাড়িদহ ইউনিয়নে ৫০টি, ভবানীপুর ইউনিয়নে ৩০টি, সীমাবাড়ী ইউনিয়নে ২৫টি, খামারকান্দি ইউনিয়নে ৩৬টি, খানপুর ইউনিয়নে ১২টি, সুঘাট ইউনিয়নে  ১১টি, শাহ বন্দেগী ইউনিয়নে ৯টিসহ ছোট বড় প্রায় ৪০০ পুকুর অতি বৃষ্টিতে ডুবে গিয়ে দেশি কার্প-রুই, কাতলা, কালবাউশ, গ্রাস কার্প, সিল্ভার কার্প, ব্রিগেড কার্প ছাড়াও পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, সরপুঁটি/রাজপুঁটি, কৈ, চিংড়ি, ট্যাংড়া, পাবদা, বাটা মাছ আবাদি জমি ও সমতল ভুমিতে ভেসে গেছে।
এই সুযোগে স্থানীয় শত শত মানুষ তাদের আবাদি জমি ও সমতল ভূমি থেকে প্রতিদিন গড়ে শত শত মণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করে বাজারে বিক্রয় করছে। এতে মাছ চাষীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে।সরকারি সহযোগিতা ছাড়া তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না বলে জানিয়েছেন অনেক মাছ চাষীরা।
এ বিষয়ে মাছ চাষী আকরাম হোসাইন বলেন, তার ৬টি পুকুর ডুবে গেছে এর মধ্যে ৩টি সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। এতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে। অতি বৃষ্টির কারণে উপজেলার সব মাছ চাষীদের প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আরেক মৎস্য চাষী লিটন জানান, আমার বামিহাল, ভাদড়া ও মাকোড়খোলা এলাকার ৫টি পুকুর ডুবে গিয়ে ১৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মাছ চাষী কামরুল ইসলাম, রতন, রাজ্জাক, আফছার আলী জানান, আমরা ফিড ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বাকিতে মাছের খাদ্য নিয়ে পুকুর চাষ করি। কিন্তু পুকুরগুলো বৃষ্টির পানিতে ডুবে গিয়ে মাছ বেড় হয়ে গেছে। আমরা এখন কোথা থেকে খাদ্যের এই টাকা পরিশোধ করব। দিন দিন আমাদের ঋণ বাড়তেই থাকবে। সরকার যদি আমাদের কোন প্রনোদনা না দেন তাহলে আমরা পথে বসে যাব।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, অতি বৃষ্টিতে পুকুর ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে মাছ চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাঠপর্যায়ে কর্মী না থাকায় প্রকৃত সংখ্যা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে প্রথমিকভাবে জানা গেছে ৬ হাজার ৪০০ মণ মাছ পুকুর থেকে বের হয়ে গেছে।
Facebook Comments Box
সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও সংবাদ

ফেসবুকে আমরা