শেরপুর প্রতিনিধি।।শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এক কন্যাশিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে বাবু মিয়াকে ৪৪ ও সহযোগী বাবুর বাবা মোফাজ্জলের ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের দায়ে বাবুকে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) ও অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়। উভয় সাজা একই সাথে চলবে। এই অপরাধে বাবুক সহযোগিতা করার অপরাধে বাবুর আত্নীয় লুৎফা বেগম নামে অপর এক নারীকে আরও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিকেলে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন নাহার রুমী ওই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত বাবু নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু।
মামলা ও ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি সূত্রে জানা গেছে , নালিতাবাড়ী উপজেলার বনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল হক তার ছেলের জন্য পার্শ্ববর্তী গেরাপচা গ্রামের ওই শিশুকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ভিকটিমের মা-বাবা প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনার দিন ২০১৯ সালের ৫ মে ওই শিশুকে তার বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে মোফাজ্জল হক ও লুৎফার সহযোগিতায় বাবু চানাচুরে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে অজ্ঞান করে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে এক বাসায় আটকে রাখে।
এরপর সেখানে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে বাবু। এদিকে শিশুর পিতা বাড়ি ফিরে মেয়েকে না পেয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ একই বছরের ২৯ মে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করে।
তদন্ত শেষে ওই তিন জনের বিরুদ্ধেই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেয়। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।