খুলনা সিটি প্রতিনিধি।। মাহফিলের টাকা জোগাড় করতে কোমলমতি এতিম শিশুদেরকে দিয়ে দিন অথবা রাতের বেলা অর্থ কালেকশন করা কতটুকু বৈধ সেই প্রশ্ন এখন সাধারন জনগনের।কোমলমতি এসব শিশু কিশোররা পড়ালেখা বাদ দিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হুজুরের কথায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই মসহফিলের টাকা কালেকশন করে বেরাচ্ছে।কোমলমতি এসব শিশুদের পিতা-মাতার দাবী আলেম বানাতে প্রতিমাসে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা দিয়েই পড়াচ্ছেন তাদেরকে ভিক্ষাবৃত্তি শেখাতে নয়।
এতে করে মুসলমানদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান বিশ্ব মানবাধিকার ফাউন্ডেন এর কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মামুন হাচান।তিনি বলেন সারাদেশে অলিতে গলিতে ধর্ম ব্যাবসায়ীগন প্রতিষ্ঠান খুলে বাচ্চাদের দিয়ে ভিক্ষা বৃওির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যা ইসলাম সমর্থন করে না।তিনি বলেন কোমলমতি এসব শিশু কিশোরদেরকে দিয়ে অর্থ কালেকশন করিয়ে ওয়াজিদের টাকা দেওয়া কতটুকু ইসলাম সমর্থন করে তা আমার জানা নেই।
ঘটনার সূত্রে জানা যায় বুধবার (১৮ অক্টেবর ২০২৩) খুলনা জেলার খালিশপুর থানাধীন শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের সামনে আবু হুরায়রা নামে জনৈক এক হুজুর ৭/৮ জন শিশু কিশোরকে নিয়ে দিঘলিয়া উপজেলার “যাকারিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার” ওয়াজের টাকা কালেকশন করতে আসেন।এসময় রাতের বেলা পরালেখা বাদ দিয়ে ওয়াজের টাকা কালেকশন করতে আসার কোন নিয়ম বা পারমিশন আছে কিনা জানতে চাইলে হুরায়রা কোন সদউত্তর দিতে পারেনি। কোমলমতি এসব শিশুদেরকে দিয়ে কেন রাতের বেলা ওয়াজিদের টাকা কালেকশন করানো হচ্ছে এমন প্রশ্ন করলে আবু হুরায়রা ভরকে যায় এবং এমনটি আর হবেনা বলে জানান।
এ বিষয়ে উক্ত মাদ্রাসার মহতামিম মুফতি মাওলানা আহমাদুল্লাহ বলেন রাতের বেলা শিশুদেরকে দিয়ে টাকা কালেকশন করানো ঠিক হয়নি।এবং এটা আমার নলেজে নেই। পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য তিনি ওয়াদা করেন।