নিজস্ব প্রতিনিধি।।বগুড়ার শাজাহানপুরে চলতি আমন মৌসুমে সবুজ বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। দিগন্তজুড়ে যে দিকে তাকাই সে দিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠজুড়ে আমনের ক্ষেতে রাসয়নিক সার, কীটনাশক ও পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন, কৃষক ও শ্রমিক। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠতে শুরু করেছে কৃষকের স্বপ্নের ফসল আমন ধান। অন্যবছরের তুলনায় এ বছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আষাঢ় এর ভরা মৌসুমেও আকাশে বৃষ্টির দেখা মিলছিল না,ফলে সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পারেনি অনেক কৃষক। তবে বাদও পড়েনি আমন ধান চাষী কৃষক। আমনের শুরুতে মোটর ও শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি কিনে আমন ধান রোপণ করছেন চাষীরা। সরেজমিনে শাজাহানপুর উপজেলার বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কম-বেশি সব কৃষকের কষ্টে অর্জিত আমন ধানের সবুজ পাতার রঙে ছেয়ে গেছে মাঠ। বোরো কর্তন শেষে আমন চাষে কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করছেন, কৃষক ও শ্রমিকেরা। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের আগামীর স্বপ্ন। আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে হাসি। শাজাহানপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমিনা খাতুন দৈনিক দিগন্তর কে জানিয়েছেন, এ বছর শাজাহানপুর উপজেলায় ১৩ হাজার ৬ শত হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধান পাওয়ার আশা করা হচ্ছে ৪২ হাজার ৪ শত মেট্রিক টন।তবে এবার অনেক আমন চাষী সেচনির্ভর হয়ে পড়েছে। এতে ব্যয় বাড়ছে কৃষকের।
সাজাপুর গ্রামের কৃষক আফজাল বলেন, আমন ধানের পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে সব ধান চাষীরা। এবার বড় ধরনের দুর্যোগ, বালাই না হলে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।কৃষকের আমন ধান চাষে কোন রোগ বালাই না হয় সে জন্য প্রতিনিয়ত কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে থেকে তদারকি করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে কৃষকরা এবার ভালো আমন ধানের ফলন পাবেন। কোন ধরনের দুর্যোগ দেখা না দিলে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।