আবুল হাসান: একবার নয় দুইবার নয় কখনো কখনো সরকারি জমি দখল কিংবা কখনো কখনো বন বিভাগের অনুমতি ব্যতীত সরকারি গাছ কেটে বনকে বিলীন করে দিচ্ছেন অসাধু আ.রব (৬০) ও তার ছেলে শাহিন। এদের বিরুদ্ধে এর পূর্বে বন বিভাগে একাধিক অভিযোগ দিলেও টনক নড়েনি বন বিভাগের।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ইব্রাহিম সুমনের বাড়ীর সামনের ১৭ পিচ তাল ও ইউক্যালিপটাচ গাছ বন বিভাগের অনুমতি ব্যতীত কেটে নেয়। ইব্রাহিম সুমন তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্থানীয় বন বিভাগ ও বন বিভাগের উপরোক্ত কর্মকর্তাদের জানালেও কোনো কাজে আসেনি। গড়িমসি করছে স্থানীয় বন বিভাগ। উপরের সকল সরকারি কর্মকর্তা ম্যানেজ করে কাজ করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। এছাড়াও বর্তমানে ফের সরকারি গাছ কেটে ৫ একর সরকারি জমি বেদখল দিয়ে বিশাল আকৃতির মাছের ঘের তৈরীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুমতি ব্যতীত গাছ কেটে সরকারি জমি বেদখল দেওয়ায় ইতিমধ্য মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবী সরকারি অফিসারগন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার কারনে আজকে তারা একের পর এক অনিয়ম করে যাচ্ছে। বেআইনি ভাবে জমি ও জমি দাতাদের উপর প্রতিনিয়ত অন্যায় করছে তারা। আমরা চাই তারা সরকারি গাছ কাটার পাশাপাশি জমি বেদখলদার আ.রব (৬০), শাহিন (৩৫) মনির ও মালেকের বিরুদ্ধে যেনো কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
কড়ইবাড়িয়া উপ-সহকারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসার (তহশিলদার) রুহুল আমিন বলেন, আমার কাছে তদন্তভার দেয়া হয়েছিলো প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
তালতলী বন কর্মকর্তা (রেঞ্জ অফিসার) মনিরুজ্জামান মিয়াকে অফিসে না পেয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তার সারা মেলেনি।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।