খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি সদর থানার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্থ জিরো মাইল এলাকা থেকে মো. শামসু আলম (৩৮)কে একটি অপহরণ চক্র কালো রঙের একটি প্রাইভেটকারে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং অজ্ঞাত অপহরণকারীরা অপহৃত ব্যক্তির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ভিকটিমের পরিবারের নিকট ফোন করে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ভিকটিমের স্ত্রী পপি আক্তার গত ৩১ আগস্ট খাগড়াছড়ি সদর থানায় এসে উপরোক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে।
অপহরণের ঘটনাটি খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপারকে অবগত করিলে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর তাৎক্ষণিক দিক-নির্দেশনায় প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত সকল তথ্য সূত্র বিশ্লেষণ করে অত্র মামলার এস.আই (নি.) মিনহাজুল আবেদিনসহ খাগড়াছেড়ি জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঐদিনই ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন তেল ঘাট এলাকায় রূপনগর ৬নং গলির বাসার ৬ষ্ঠ তলা থেকে ভিকটিম মো. শামসু আলম (৩৮)কে জীবিত ও অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে ভিকটিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয় এবং ভিকটিম সুস্থবোধ করলে ভিকটিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান পরিচালনা করে অপহরণ চক্রের সদস্য আসামি লক্ষীপুর জেলা রামগঞ্জ থানার বরিয়াইশ এলাকার মৃত আবিদ মিয়ার ছেলে মো. নুরনবী (৪৬), রাজবাড়ী জেলার কালুখালীর থানার বিশখাদা এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মো. ইব্রাহীম (২৪) ও পাবনা জেলার ধোপাখাটা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৬) কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা অপহরণ ও মুক্তিপণের বিষয় স্বীকার করে। পরবর্তিতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের কোর্টে পাঠানো হয় এবং অপহরণ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান চলমান রয়েছে।