1. admin@dailydigantor.com : admin :
শমী কায়সারের মা, অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই – দৈনিক দিগন্তর
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
খুলনার ডুমুরিয়ায় লুন্ঠিত মালামালসহ ৬ ডাকাত গ্রেফতার কুষ্টিয়ায় বিদ্যালয়ের তালা খোলে শিক্ষার্থীরা ; শিক্ষক আসেন ১০টার পর সহকারী জজ হলেন ইবির ৭ শিক্ষার্থী নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে ; আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী ঢাকার দুই জায়গায় আজ সমাবেশ করবে বিএনপি রাজধানীর লালবাগে মিষ্টির দোকানে আগুন পাবনায় গোয়েন্দা শাখার পৃথক দুইটি অভিযানে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার যাত্রাবাড়ীতে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারালো যুবক খুলনায় চাঞ্চল্যকর শামীমা হত্যা মামলার আরো ২ আসামী গ্রেফতার যশোর থেকে কুখ্যাত মাদক, চোরাকারবারি ও অস্ত্র ব্যবসায়ী নাসির অস্ত্র সহ গ্রেফতার

শমী কায়সারের মা, অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই

দৈনিক দিগন্তর ডেস্ক :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩

 

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ জায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী।

আজ সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদুল্লাহ কায়সারের সাথে তার বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে কারফিউ ছিল। পুরো দেশ তখন গণআন্দোলনে উত্তাল। শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে শুরু করে তার প্রায় সাড়ে চার দশকের পথচলা আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, বাঙালি সংস্কৃতি আর প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শহীদুল্লাহ কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেন নি। এরপর পান্না কায়সার একা হাতে বড় করে তুলেন তার দু’সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে শহীদ জায়া অধ্যাপক পান্না কায়সারের অবদান অপরিসীম। সংসার জীবনে আবদ্ধ না থেকে পান্না কায়সার দায়িত্ব নিয়েছেন লাখো কোটি শিশু-কিশোরকে সোনার মানুষে পরিণত করার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’ এর সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হন ১৯৭৩ সালে। ১৯৯০-তে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলা’ খেলাঘরের মাধ্যমে এই স্লোগান সারাদেশের শিশু কিশোর থেকে শুরু করে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেও সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

তিনি বাংলাদেশের একজন ঔপন্যাসিক, গবেষক ও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এই শহীদ জায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে।

তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

 

Facebook Comments Box
সংবাদটি শেয়ার করুন :
এ জাতীয় আরও সংবাদ

ফেসবুকে আমরা